শহর কিংবা গ্রামে ডোবা জলাশয় ও ফসলি জমি ভরাট করে বেড়েই চলেছে ইট পাথরের দালান-কোঠা ও শিল্প কারখানা। শুকিয়ে যাচ্ছে ছোট বড় খাল-বিল, নদ-নদী ও ডোবা জলাশয়।
হারিয়ে যাচ্ছে প্রাণ ও বৈচিত্র্যের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। তারপরও অযত্নে অবহেলায় নালা-নর্দমায় ফসলহীন জন্মায় কচুরিপানা।
আর কচুরি ফুল তার সৌন্দর্য্যকে প্রাকৃতির মাঝে বিলিয়ে দেয় নিঃস্বার্থভাবে।
কচুরিপানার বৈজ্ঞানিক নাম Eichhornia Crassipes. এই চিরচেনা জলজ উদ্ভিদটা কিন্তু আমাদের দেশীও নয়। ১৮শ’ শতাব্দীর শেষভাগে এক ব্রাজিলীয় সৌন্দর্যপ্রেমিক পর্যটক এই কচুরিপানা বাংলায় নিয়ে আসেন।
এটি জলাশয়ে মাছের জন্য যেমন উপকারী, তেমনি শুকনা কচুরিপানা ফসলি জমির জন্য দরকারি।
এই কচুরিপানার ফুল শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতীর কাছে কতটুকু পছন্দের ও আনন্দের তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কচুরিপানা দেখতে গাঢ় সবুজ হলেও ফুলগুলো সাদা।
দেখলে মনেহয় গাঢ় সবুজের মাঠে শুভ্র আলোয় জ্বলছে অযুত-নিযুত তারা। এর পাপড়ি গুলো বেগুনী ছাপযুক্ত এবং মাঝখানে হলুদ ফোঁটা থাকে। প্রতিটি ফুলের ছয়টি করে পাপড়ি দেখা যায়।
বাংলাদেশে প্রায় সাত প্রজাতির কচুরি দেখতে পাওয়া যায়।
প্রায় সারা বছরই এলাকায় নদ-নদী, পুকুর, জলাশয়, হাওর বা নিন্মাঞ্চলে ফসলহীন কচুরি ফুল ফুটতে দেখা যায়।
এটি একটি বহু-বর্ষজীবী ভাসমান জলজ উদ্ভিদ। কচুরি ফুলের মুগ্ধতায় আমাদের মানব মনের মধ্যে প্রকৃতি প্রেম জাগ্রত হোক।
আজ শনিবার ১১ এপ্রিল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের ঘাগড়াবিল থেকে তোলা ছবি।
Recent Comments