হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ইরি-বোরো ক্ষেতে পাকতে শুরু করেছে সোনালী ধান। ফসল ঘরে তোলার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন উপজেলার কৃষকরা। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক না হওয়ার আশঙ্কায় ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। লকডাউন যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে, কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ততই বাড়ছে। ধান কাটা ও ঘরে তোলার শ্রমিক কোথায় পাবেন- এই চিন্তায় তাদের মাথা ব্যাথার শেষ নেই।
কৃষকরা জানান, বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কৃষক-শ্রমিকসহ সবাই ঘরমুখো। ফসল ঘরে তুলতে শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। পাশাপাশি আবহাওয়ার বিরুপ আচরন হওয়ার আশংকাও রয়েছে।
উপজেলার কামাল খানী গ্রামের কৃষক বলু মিয়া বলেন, এবছর ধান ভাল হয়েছে, খুব আনন্দে ছিলাম, করোনা ভাইরাসের কারনে পাবনা, নীলফামারীজেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিক আসত, পুলিশের বাধার কারনে এবার আসতে পারছে না, ধান ঘরে তুলব কি করে এই চিন্তায় রাতে ঘুম আসেনা।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের শ্রমিক সর্দার আব্দুর রহিম মিয়ার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, পুলিশের ভয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছিনা এছাড়া ও পরিবহন সংকটের কারনে জায়গামত পৌছতে পারব কিনা সে বিষয়ে ও দুঃশ্চিন্তা রয়েছে।
এ ব্যাপারে একটি মাত্র নৌকা নিয়ে আসতে পেরেছেন শাহজাদপুরের শ্রমিক সর্দার সানোয়ার হোসেন তিনি জানান, আমাদের তিনটি নৌকায় তিনটি দল ছিল, ভৈরব থেকে দুটি নৌকা ফেরত গিয়েছে। এখন তারা আসতে পারবে কিনা আমি জানিনা।
Recent Comments